“মুখোশের আড়ালে”
– দীপালী পাল
গায়ে ময়ূরের পালক পরেছে হায়নার দল,
বিশ্বাসঘাতক মানুষ প্রসারিত করেছে পাখা,
উপরের চাকচিক্যে আকৃষ্ট সকলে নিশিদিন!
ভেতরের অবিশ্বাসী রূপটাকে যায়নাতো দেখা-
বিশ্বাস অসহায় হয়ে গোপন কুঠুরিতে কাঁদে!!
নিভৃতে মাথার বালিশ তার কান্না দিয়ে ভেজায়-
রাতের আধো আলো বুঝতে পারে ঘাতকের রূপ,
শিকারী হায়নারা খোলস ছেড়ে সামনে দাড়ায়।
চেনা কিংবা অচেনা অনিশ্চয়তা কঠিন সময়ে,
শহরের অলিতে গলিতে আছে কতো জানোয়ার !!
বিবেক হারিয়ে স্বার্থের লোলুপ গন্ধ মেখে থাকে–
কথার মাধূর্যে অভিনয়ে রোজ ধরছে শিকার!!
সকালে মুখোশ ,ঝকঝকে ভদ্রবেশী লোক ওরা–
খুন করে কতো মানুষের মাথা থেঁতলেছে ইটে!!
ক্ষমতার স্তম্ভে পাওয়া গেছে রক্তের আষ্টে গন্ধ,
কতো মানুষের জমাট রক্ত আছে ওই কংক্রিটে!!
রাস্তার দুপাশে দেখি কতোরকম মুখোশ পড়া,
মুখোশের রং থাকে লাল, কালো, সাদা, হলুদ ঘিয়ে-
বিশ্বাস নিঁখোজ হয়েছে অবিশ্বাসের বিষ ফাঁদে,
কিছু অট্টালিকা তৈরী হয় মানুষের রক্ত দিয়ে–
কিছু লাশ আজও রয়েছে শুয়ে মাটির ভেতরে!!
বেওয়ারিশ হয়ে যারা শীতে কুঁকড়ে ছিল পথে–
গরীব প্রতিবাদ করলে তার ঠিকানা কবরে!!
কতো লোভী মুখ সাধু সেজে শুয়ে আছে ইমারতে!
খুলে দিতে পারবে বিশ্বাসঘাতকদের মুখোশ??
সব স্বার্থের উপরে উঠে দেখো বিশ্বাসী আকাশ!
প্রাণ খুলে বাঁচতে পারতো তবে ভালো, সুজনেরা,
মানুষেরা খোঁজে আঁধারে একমুঠো স্বচ্ছ বিশ্বাস।।